আমাদের বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য পরিমাণের মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে জার্মান গমন করেছে। তাই আপনিও যদি জার্মান কাজের জন্য যেতে চান?
সেক্ষেত্রে অবশ্যই জার্মান ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।নানান ধরনের ভিসা রয়েছে।।আজ আলোচনা করব,self employed ভিসা নিয়ে।।
জার্মানি সম্পর্কে ধারণা
জার্মান কাজের ভিসা ২০২৩
জার্মান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জার্মান কাজের ভিসা আবেদন ২০২৩
জার্মান কাজের আবেদন
জার্মানিতে কাজের চাহিদা এবং বেতন
জার্মানি ভিসা খরচ
উপসংহার
জার্মানি সম্পর্কে ধারণা
ইউরোপের অন্যতম প্রধান শিল্পন্নত দেশ জার্মানি। জার্মানি 16 টি রাজ্য নিয়ে গঠিত। এটি ইউরোপের একটি দেশ।
জার্মানির পূর্ব সীমান্তে পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্র।
পশ্চিম সীমান্তে ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ড। আবার উত্তর সীমান্তে ডেনমার্ক ও দক্ষিণ সীমান্তে অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ড অবস্থিত।
আয়তনের দিক দিয়ে জার্মান ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র।
জার্মান পৃথিবীর একটি প্রধান শিল্প উন্নত দেশ। এটির অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং জাপানের পরে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম।
জার্মানিতে লোহা, ইস্পাত, যন্ত্রপাতির সরঞ্জাম এবং মোটরগাড়ি রপ্তানি করা হয়।
জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসেবে প্রমাণিত।
জার্মান কাজের ভিসা নিয়ে অনেকেই গমন করতে চান। জার্মান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার যোগ্যতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
জার্মানিতে আপনি যদি গমন করতে চান তবে আপনাকে সর্বনিম্ন 5ম শ্রেনী বা এইচএসসি পাস হতে হবে।যে কাজে যাবেন, ট্রেনিং সাটিফিকেট থাকলে কাজ পাবার খুব সম্ভাবনা ।
আবার আপনাকে অবশ্যই জার্মান ভাষার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তো আপনি যদি জার্মান ভাষা না জানেন সে ক্ষেত্রে আপনি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারেন।
আপনারা জার্মানি যেতে চাইলে সেখানে গিয়ে কি করবেন তা আপনাকে আগে থেকেই জানতে হবে এবং সে কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
German job offer link click click click
আপনি যে সকল বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সেই কাজ গুলো নিজের দেশ থেকে শিখে নিয়ে। তারপর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে জার্মানিতে গমন করতে পারেন। তো কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন।
জার্মান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনারা যারা জার্মান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ে যেতে চান? তাদের অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে।
আর সেগুলো হচ্ছে-
৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
জাতীয় পরিচয় পত্র কপি।
ব্যাংকের স্টেটমেন্ট।
কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট।
পূর্বে কাজ করার কোন অভিজ্ঞতা সনদ।
অফার লেটার।
সিভি/ জীবন বৃত্তান্ত।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
তো বন্ধুরা আপনারা যারা জার্মানি ভিসা নিয়ে যেতে চান?
তাদের অবশ্যই ওপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে।
জার্মান ভিসা আবেদন করতে চাইলে আপনাকে সরাসরি বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাস থেকে আবেদন করতে হবে।
তাছাড়া আপনি অনলাইনের মাধ্যমে জার্মান কাজের ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তার জন্য আপনাদের এই লিংকে প্রবেশ করে, অনলাইনের মাধ্যমে জার্মান ভিসা আবেদন করতে হবে।
জার্মানিতে গিয়ে আপনি কি ধরনের কাজ করতে পারবেন। এবং কেমন বেতন দেয়া হবে, সে বিষয়ে অবশ্যই জেনে নিতে হবে।
জার্মানিতে কাজের জন্য আবেদন করতে চাইলে। আপনার অবশ্যই সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। আপনারা গুগল থেকে জার্মানিতে কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন খুব সহজ।
আপনাদের সরাসরি আবেদন লিংক গুলো আমি দিয়ে দিব।।
জার্মানের যে কোম্পানিগুলো কাজের জন্য কর্মে নিয়োগ দিয়ে থাকে সেখানে আপনি নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার জন্য প্রয়োজন হতে পারে ইউরোপ ফরমেট সিভি আর কভার লেটার লেটার।। অবশ্যই আপনার জব রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী।।আমি ইউরোপ ফরমেট সিভি আর কভার লেটার জন্য আপনাকে লিঙ্ক দিয়ে দিব।
আর নিজে না পারলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।।ভিডিও description box a সবকিছু দেয়া থাকবে।।।
জার্মানিতে অনেক কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে সেখানে অনেক বাংলাদেশিরা কাজ করে থাকে। করোনা মহামারি কালীন সময়ে অনেক সমস্যা হওয়ার ফলে।
সেখানে এখন সবকিছু ঠিকঠাক করার জন্য কাজের চাহিদা অনেকক্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জার্মানিতে যারা যাবেন তারা নিজে নিজেই একটু কষ্ট করে কাজ খুঁজে নিতে পারবেন।
সেখান থেকে আপনারা ভালো টাকা উপার্জন করার সুযোগ পাবেন। জার্মানিতে সর্ব নিম্ন বেতন হল ঘন্টায় 900 টাকা।।মাসিক 220000 টাকা।। আপনি ভালোভাবে কাজ করতে পারলে মাসে প্রায় 4 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ পাবেন।
তো জার্মানিতে যেতে চাইলে আপনার ভিসা খরচ হতে পারে সবকিছু মিলিয়ে প্রায় 2 লক্ষ টাকার মত।
জার্মানি self employed visa বা স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা
ভিসা বাধ্যবাধকতা সাপেক্ষে তৃতীয় দেশ থেকে অভিবাসীদের জন্য ভিসা এবং প্রবেশের পদ্ধতি
সাধারণত ভিসার জন্য প্রয়োজনীয়তা
পাসপোর্ট, এর প্রমাণ
আর্থিক সামর্থ্য,
কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই
ধাপ 1
প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করুন
স্বনির্ভর:
• জার্মানিতে অর্থনৈতিক আগ্রহের প্রমাণ
• জার্মান অর্থনীতিতে ব্যবসায়িক প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব৷
• নিরাপদ আর্থিক উপায় (ইকুইটি মূলধন বা ঋণ প্রতিশ্রুতি)
• 45 বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি: পর্যাপ্ত পেনশন
প্রয়োজনীয় বিধান
ফ্রিল্যান্সার:
• স্ব-নিযুক্ত কার্যকলাপ অনুশীলন করার জন্য পেশাদার লাইসেন্স
(যেমন প্রশিক্ষণ ডিপ্লোমা)
• আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ
• নিজের জব ছাড়া চলার সামর্থ
• 45 বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি: পর্যাপ্ত পেনশন
প্রয়োজনীয় বিধান
ধাপ ২
জার্মান দূতাবাসে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন
• প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা: যেমন পাসপোর্ট,
ব্যবসায়িক পরিকল্পনা,
আর্থিক উপায়ের প্রমাণ, বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
ভিসা আবেদনপত্র
অনুগ্রহ করে বিবেচনা করুন:
জার্মান দূতাবাস তথ্য প্রদান করে
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য সম্ভাব্য অপেক্ষার সময় এবং যেকোনো বিষয়ে
তাদের ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হতে পারে এমন অতিরিক্ত নথি।
জার্মানিতে প্রবেশ করুন
ধাপ 3
বসবাসের জন্য দেশে ভিসার জন্য আবেদন করুন
• ফি: EUR 75 (স্থানীয় মুদ্রায়)
অনুগ্রহ করে বিবেচনা করুন: প্রক্রিয়াকরণের সময় 3 দিন থেকে
সপ্তাহ পর্যন্ত।
ধাপ 4
• জার্মানিতে স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা প্রদান
• জার্মানিতে ফ্লাইট/যাত্রা বুক করুন
পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য থাকা বাধ্যতামূলক
জার্মানিতে প্রবেশের আগে বীমা কভারেজ।
ধাপ 5
জার্মানিতে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করুন
• বিদেশী কর্তৃপক্ষের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন
• স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করুন
• বিদেশীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথিগুলির একটি তালিকা অনুরোধ করুন
কর্তৃপক্ষ এবং তাদের প্রস্তুত
• হ্যান্ডলিং ফি 100 ইউরো পর্যন্ত হতে পারে
বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে
প্রবেশ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে।
No comments:
Post a Comment